আইএনবি নিউজ: খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে ফোনে কী কথা বলেছেন, তার রেকর্ডও আছে। চাইলে প্রমাণ দিয়ে দেবো। তবে আমি আর নিচে যেতে চাই না।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তবে এর আগে সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে আবেদন করা তার (খালেদা জিয়া) পরিবারের বিষয়, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল আমাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি কি প্রমাণ করতে চান, তিনি অনুরোধ করেননি। তাহলে কিন্তু প্রমাণ দিয়ে দেবো। কারণ টেলিফোনে যে সংলাপ, এটা তো আর গোপন থাকবে না। এটা বের করা যাবে। ফোনে কথা বলবে, এটা গোপন রাখা যাবে? এটার রেকর্ড আছে। আমি এ নিয়ে এখন অসত্য কথা কেন বলবো। আমি এ বিষয় নিয়ে তাকে আর ছোট করতে চাই না। উনি নিজেকে কেন নিচে নিয়ে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার মামলা দুর্নীতির মামলা। সরকার কীভাবে মুক্তি দেবে। যদি রাজনৈতিক মামলা হতো তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তির প্রশ্ন ছিল। এই মামলা রাজনৈতিক নয়, এই মামলা দুর্নীতির মামলা। আর এই মামলা আমাদের সরকার বিএনপিকে হেয় করার জন্যও রুজু করেনি। এই মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’
প্যারোলে কনভিকটেড প্রিজনারকে মুক্তি দেওয়ার নিয়মের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘প্যারোলে যেসব কারণে মুক্তি দেওয়া হয়, সেসব কারণ উল্লেখ করে তারা এ পর্যন্ত কোনও আবেদন করেননি।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন, বার্ধক্যের কারণে তার (খালেদা জিয়া) অবস্থা যে অবস্থানে থাকার কথা, সেই অবস্থানেই রয়েছে। কিন্তু ফখরুল সাহেব একবার বলেন, তার অবস্থা খারাপ। আবার পরিবারের পক্ষ থেকে বেগম জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।’
খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় খুলনা বিভাগের সব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা।
আইএনবি/এনএম