আইএনবি নিউজ: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে ‘ইভিএমে কারচুপি ও ভোটকেন্দ্র দখলের’ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
গুলশানের একটি বিদেশি রেস্তোরাঁয় শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর বার্ন্ট ওরিস্টেনসেনের সঙ্গে বৈঠক হয় ধানের শীষের প্রার্থীর।
পরে সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মত জানতে বৈঠকে এসেছেন। ভোটের দিনে কি কি শঙ্কা আছে তা তিনি জানতে চেয়েছেন।
“আমি ইভিএমের বিষয়টা বলেছি এবং ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন জেলায় কমিটি করে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হচ্ছে ঢাকায়, কেন্দ্র দখলের একটা পাঁয়তারা হচ্ছে- এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।”
কয়েকদিন আগে গোপীবাগে ‘নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলের ওপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার’ বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেছেন বলে তিনি জানান।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকটিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সও ছিলেন। একই জায়গায় সকালে ঢাকা দক্ষিণের নৌকার মেয়র প্রার্থী ফজলে নুর তাপসের সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির বৈঠক হয়।
ইশরাক বলেন, “এটা ছিল পূর্বনির্ধারিত বৈঠক। উনি সকল প্রার্থীর সাথে বৈঠকে বসেছেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথেও বসেছেন।”
নিজের নির্বাচনী এলাকায় ‘প্রায় সাড়ে ৩০০’ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেটা ৪০০ হতে পারে বলে তিনি জানান।
প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইশরাক।
ভোটের দিনটা কেমন যাবে জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, বেশিরভাগ জরিপগুলোতে ধানের শীষে ৮০ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছে। তা দেখে সরকারি দল হয়ত ‘জোর-জবরদস্তি করে কেন্দ্র দখল করার’ চেষ্টা করবে।
“আমাদের যে একটা গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তার ওরা রুখতে চাচ্ছে। আমি বলতে চাই, এবার কিন্তু দখলদারিত্ব মেনে নেওয়া হবে না, ভোটাররা মেনে নেবে না। আমরা কেন্দ্র পাহারা দেব, দখলমুক্ত করে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করব।
আইএনবি/এনএম