আইএনবি রিপোর্ট: বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বছরের একাধিকবার পরিবর্তনের সুযোগ রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৯’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়াও আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের খসড়া এবং সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদনে দেয়া হয়েছে।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনটি ছিল ২০০৩ সালের। তাতে একটা প্রভিশন ছিল-কমিশনের নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনোরূপ পরিবর্তন ঘটে। এটাকে পরিবর্তন করে করা হয়েছে। কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থ বছরে কমিশনের একক বা পৃথক পৃথক আদেশ দ্বারা, প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিকবার পরিবর্তন করতে পারবে। সংশোধিত আইনে শুধু এইটুকুই পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য যে বিধান আছে সেগুলো ঠিক আছে। একাধিকবার ট্যারিফ পরিবর্তন করার সুযোগ করার ব্যাখ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনারা দেখেছেন অনেক সময়ই পরিবর্তন করা প্রয়োজন হতে পারে। রিজিট (অনমনীয়) না থেকে অপশন রইল, সেজন্যই। যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে, অনেক সিনারিও আসতে পারে, হঠাৎ করে চেইঞ্জ করা লাগতে পারে। কিন্তু আগের আইনে রিজিট ছিল, এখন ফ্লেক্সিবল করা হল। নতুন আইন কার্যকর হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বছরে এক বা একাধিকবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম পরিবর্তন করতে পারবে কি না-সেই প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, বাড়াতেও পারবে, কমাতেও পারবে।
এছাড়াও আরও দুই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয় মন্ত্রিসভা। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’ ও ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এ নিয়ে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০ পৌছালো। এছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৯ এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন হবে অন্য সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। আর সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০১৯ প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি এ অপরাধ করেন, তাহলে অনির্ধারিত তিন বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫ কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ- দেওয়া হবে। এমন আরও কিছু নিয়ম কানুন রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত এ আইনে।
আইএনবি/এনএম