ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসিরনগরে ১৫ বছরের এক কিশোরী এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের কথা বলে মেয়ের বাবার কাছ থেকে টাকা আদায় করলেও সেটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় থানায় মামলা হলে পুলিশ বাবা-মাসহ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ধর্ষক মো. সাব্বির হোসেন ও তার বাবা আনোয়ার হোসেন, মা মাহমুদা বেগম। তাদের বাড়ি উপজেলার হরিপুর গ্রামে। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার ছদর হোসেন নামে আরো একজনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে ইলেকট্রনি· দোকানের কর্মচারি সাব্বির প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর স্কুল থেকে ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে সাব্বির। পরবর্তীতে ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দিবে বলে একাধিকবার ধর্ষণ করে কিশোরীকে।
বিষয়টি ওই কিশোরীর মা-বাবা জানতে পারে। পরে ২০২০ সালে ২৫ মে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তিতাস শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কিশোরিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফ করে। যাতে মেয়েটি ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার রিপোর্ট আসে।
এরপর কিশোরীর বাবা স্থানীয়দের মাধ্যমে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায়। পরে তারা বিয়ের খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে কিশোরীর বাবার কাছ থেকে। বিয়ে বাবদ আরো টাকা চান ধর্ষকের বাবা। এক পর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙে দেন ধর্ষকের বাবা আনোয়ার। এ অবস্থায় কিশোরীর বাবা রবিবার নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদেরকে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া