১১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন

দিনাজপুর প্রতিনিধি:কনকনে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে।

সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ।

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি বলেন, “আজ সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৪ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, দেশের অন্যান্য কয়েকটি জেলার আজকের সকাল ৬টার তাপমাত্রা: তেতুলিয়া (পঞ্চগড়): ১১.৫, সৈয়দপুর: ১২.৮, রংপুর: ১৩.০, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): ১১.৫, ডিমলা (নীলফামারী): ১২.৪, বদলগাছি (নওগাঁ): ১১.৫, বগুড়া: ১৩.৮, ঈশ্বরদী (পাবনা): ১৩.০, রাজশাহী: ১৩.৪, চুয়াডাঙ্গা: ১৩.০, যশোর: ১৩.৬ এবং শ্রীমঙ্গল (সিলেট): ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে জেলার বিভিন্ন সড়কে ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে যানবাহনকে। কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন শীতের পোশাক। সন্ধ্যার পর থেকেই মৃদু হিমেল বাতাস পরের দিন সকাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।

দিনাজপুর-পার্বতীপুর রোডের ট্রাকচালক রাকিব হোসেন বলেন, “রাত থেকে ঘন কুয়াশা ঢাকা পড়ছে। সড়কে ১০ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য ফুল হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে।

গরম জামাকাপড় পরার পাশাপাশি চুলায় আগুন জ্বালিয়েও নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। শীতে জবুথবু হয়েও কাক ডাকা ভোরে অনেক শ্রমজীবী মানুষেরা ঘর থেকে বের হচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন ফসলি মাঠে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

আইএনবি/বিভূঁইয়া