আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় একশো যাত্রী ও বিমানকর্মী নিয়ে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ল একটি বিমান। শুক্রবার কাজাখস্তানের আলমাটি বিমানবন্দরের কাছেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। টেক অফের সময়ই উচ্চতা হারানোর ফলে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
কাজাখ প্রশাসন সূত্রের খবর, বিমানটিতে মোট ৯৫ জন যাত্রী ছিলেন। আর পাইলট, বিমানসেবিকা মিলিয়ে ছিলেন আরও পাঁচ জন। শুক্রবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে কাজাখস্তানের শহর আলমাটি থেকে দেশের রাজধানী নুরসুলতানের উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। আলমাটি পাহাড়ি এলাকা। বিমানবন্দরটাও পাহাড়ের উপরেই রয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিমানটি টেক অফের সময়ই কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। ফলে উচ্চতা হারিয়ে বিমানবন্দরের কাছেই একটি দোতলা বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে সেটা।
দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে বিমানটি। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। বিমানের ভিতরে অনেক যাত্রীই জীবীত অবস্থায় আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে দোতলা বাড়িটার উপরে ভেঙে পড়েছে বিমান, তার ভিতরে কেউ ছিলেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তবেই বাড়ির ভিতরে ঢোকা সম্ভব বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
যাত্রী নিরাপত্তা ও তদন্তের স্বার্থে এই ধরনের সমস্ত বিমানের ওঠানামা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্টের টুইট, ‘এই দুর্ঘটনার জন্য যে বা যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁদের কঠোর শাস্তি হবে।’
বিবিসি
আইএনবি /বিভূঁইয়া