নিজস্ব প্রতিবেদক
কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন কারারক্ষীরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ বিভাগে রেফার করেছেন।
কারারক্ষী মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি (সম্রাট) কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষী ও পুলিশি পাহারায় তাকে ঢামেকে আনা হয়েছিল। পরে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুলের বিরুদ্ধে গতকাল তিনটি মামলা করেছে র্যাব। এর মধ্যে ঢাকার রমনা থানায় দুটি মামলার মধ্যে একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও আসামি করা হয়। আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মনির চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও আরমানকে আটক করে র্যাব। আটকের সময়ই আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।