নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি এলাকায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ রবিবার (৯ আগস্ট) সকালে কুমড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রিপন মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ধর্ষিতা নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি এলাকায় গৃহবধূ (২১) গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে হাত-পা ধুতে গেলে কুমড়ি গ্রামের রিপন মোল্যা এবং ওহিদুল মোল্যা (৩০) নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে কুমড়ি গ্রামের প্রভাবশালী কামাল মোল্যা ও কয়েকজনের শেল্টারে ধর্ষকদের সহযোগিতায় সালিসের নামে জাকির (২৫), নুরুন্নবী (২৭), আশিক সিকদারসহ (২৫) কয়েকজনে ওই নারীকে মারপিট করে।
ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ধর্ষকরা আমাকে ধর্ষণ করাসহ মারপিট ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। হত্যার হুমকিও দিয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অন্য আসামিসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলার দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া