চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম কাস্টমের নিলামে গত সোমবার সাবেক ২৪ এমপির বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজারের মধ্যে ১৪টিতে দরপত্র পড়লেও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাতসহ ১০ সাবেক এমপির গাড়ি কেউ কিনতে চাননি। শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যরা বিলাসবহুল এসব গাড়ি এনেছিলেন দেশে।
কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এসব ল্যান্ড ক্রুজার আটকে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ। পরে কোটি টাকার এসব ল্যান্ড ক্রুজারে শুল্ক আরোপ করে মূল্য নির্ধারণ করে ৯ কোটি ৬৭ লাখ তিন হাজার ৮৯৯ টাকা।
শুল্ক আরোপের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কেউ আর খালাস নেননি। তাই এসব গাড়ি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সাবেক ১০ এমপির গাড়ির জন্য নিলামে আগ্রহ দেখাননি কেউ। এর মধ্যে আছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি ও বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সানজিদা খানম, ময়মনসিংহ-১১ আসনের আবদুল ওয়াহেদ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনের এ এস কে একরামুজ্জামান, জামালপুর-৫ আসনের মো. আবুল কালাম আজাদ, ফরিদপুর-২ আসনের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, নওগাঁ-৩ আসনের সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ঢাকা-১৯ আসনের মো. সাইফুল ইসলাম এবং নারী আসনের রুনু রেজা।
বাকি ১৪ এমপির গাড়িতে দর হেঁকেছেন ২৮ বিডার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দর উঠেছে নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. সাদ্দাম হোসাইন পাভেল ও খুলনা-৩ আসনের এস এম কামাল হোসাইনের গাড়িতে। ৯ কোটি ৬৭ লাখ তিন হাজার ৮৯৯ টাকা নির্ধারিত মূল্যের বিপরীতে তিন কোটি ১০ লাখ টাকা করে দর হাঁকিয়েছে এস এম আরিফ নামের এক ব্যক্তি। বগুড়া-৫ আসনের এমপি মজিবুর রহমান মজনুর গাড়ি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর উঠেছে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া সাবেক তারকা এমপি তারানা হালিম ও আলোচিত নারী এমপি জান্নাত আরা হেনরির গাড়ির বিপরীতে দর উঠেছে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে ওঠা এ নিলামে জাপানের ল্যান্ড ক্রুজার তোলা হয় ২৬টি। এর মধ্যে ২৪ জন সাবেক এমপির গাড়িগুলোর মধ্যে ২০২৪ মডেলের এবং অন্য দুটি আগের আনা। এ ছাড়া রয়েছে পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটির সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি নিলামে তোলা হয়।
এর মধ্যে প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য ৯ কোটি ৬৭ লাখ তিন হাজার ৮৯৯ টাকা।
সংরক্ষিত মূল্য রাখা সাবেক এমপিদের ল্যান্ড ক্রুজার জেডএক্স গাড়ির মধ্যে ১৪টি গাড়িতে দরপত্র জমা পড়ে। বাকি ১০টিতে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া