বগুড়া প্রতিনিধি:বগুড়ার ধুনটে বুধবার (৫ মার্চ) গোসাইবাড়ী বাজার এলাকায় ২০৯ জন সদস্যের জামানতের ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে ভিসেল বাংলাদেশ লিমিটেড নামের বেসরকারি একটি সংস্থা (এনজিও) উধাও হয়ে গেছে।
প্রতারণার শিকার সদস্যরা জামানতের টাকা ফেরত চাইলে ওই এনজিওর মাঠকর্মীদের হামলায় তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ হাসান নামের এক সদস্য বাদী হয়ে ওই এনজিওর ব্যবস্থাপক বুলবুল রহমানসহ ছয় মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এনজিওটি প্রায় তিন মাস আগে গোসাইবাড়ী বাজার এলাকায় শাখা কার্যালয় স্থাপন করে। সেখানে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন গাইবান্দা জেলার বুলবুল রহমান নামের এক প্রতারক। ওই শাখা কার্যালয়ে আরো পাঁচজন মাঠকর্মী রয়েছেন। তারা অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে এলাকার ২০৯ জন সদস্য ভর্তি করেন।
সদস্যদের একটি করে পাস বই দেওয়া হয়েছে।
১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত হিসেবে জামা করেন সদস্যরা। এনজিওর শর্ত অনুযায়ী জামানতের টাকা জমা করার ১৫ দিন পর বার্ষিক ১ শতাংশ সুদে সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত তিন মাসে একজন সদস্যকেও ঋণ দেওয়া হয়নি।
সদস্যরা ঋণ চাইলে এনজিওর লোকজন বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে।
বুধবার দুপুরে এনজিওর কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা গোসাইবাড়ী কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কৌশলে এলাকা ছাড়তে থাকেন। সংবাদ পেয়ে সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে ওই কার্যলয় থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দুরে বথুয়াবাড়ী এলাকায় পৌছে এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক বুলবুল রহমানকে আটক করেন সদস্যরা। এ সময় এনজিওর লোকজনের হামলায় সদস্য বিদ্যুৎ হাসান (৩০), শামীম হোসেন (৩৬) ও শুভ কুমার (২২) আহত হন।
এ ঘটনায় উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে বিদ্যুৎ হাসান বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে গোসইবাড়ী শাখা ব্যবস্থাপক বুলবুল রহমানসহ ছয় মাঠকর্মীকে আসামি করা হয়।
বুলবুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধুনট থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কুলসুমা খাতুন বলেন, ভিসেল বাংলাদেশ লিমিটেড নামের বেসরকারি একটি সংস্থার সদস্যদের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, ‘ভিসেল বাংলাদেশ লিমিটেড নামের বেসরকারি সংস্থা এই এলাকায় কাজ করছে কি না, আমার জানা নেই।’
আইএনবি /বিভূঁইয়া