নিজস্ব প্রতিবেদক
রোববার (২৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালের পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পবিত্র হজ পালন করতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌছেছেন থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৮ জন হজযাত্রী। আজ শনিবার সৌদির এয়ারলাইন ‘সৌদিয়া’ এবং ‘ফ্লাইনাস’ শেষদিনে সৌদি আরব যাবেন ৩ হাজার ৮৫৭জন। বিকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হবে ফ্লাইট, রাত ১ টা ৫০ মিনিটে শেষ ফ্লাইট ।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানান, গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় হজে প্রথম ফ্লাইট। চলতি বছর হজযাত্রীদের বহন করে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ার। এরমধ্যে বাংলাদেশ বিমান বহন করে ৬১ হাজার ১৫১জন হজযাত্রী। বাকি হজযাত্রীদের বহন করে সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২২ জুন তাদের হজ ফ্লাইট শেষ করেছে। শুক্রবার (২৩ জুন) সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়, চলতি বছর ১৬০টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৫১ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরব পৌঁছে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২ জুন থেকে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। যা আগামী ৩ জুলাই সকাল ৬টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, এ বছর বিমানের প্রি-হজের শেষ ফ্লাইট বিজি ৩৩৫ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৬২ জন হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিমানের প্রি-হজ কার্যক্রম।
এদিকে রোববার ভোরে মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হবে যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে। চলতি বছর বিশ্বের ১৬০টি দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করবেন।
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্খিত কোটা পূরণ করা যায়নি। সর্বশেষ ২ মে শেষ দিন সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।
এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে গেছেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। সে হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।ৎ
এনএ/এএই