বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশের এএসআই সবুজ মিয়া ও ফজলে রাব্বীর উপস্থিতিতে গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়ের সদর হাঁসড়া গ্রামে মারধর ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫জন নারী ও শিশু আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত রয়েছে।
শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সদর হাসড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী’র ফরিদা খাতুনের পৈত্বিক সম্পত্তি নিয়ে একই গ্রামের মৃত সবদের আলীর ছেলে আফসার আলী’র সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে শুক্রবার
সন্ধ্যার আগে ফরিদার পক্ষরা ওই জমিতে হালচাষ করতে গেলে প্রতিপক্ষ আফসার আলী পুলিশ সেবা ৯৯৯ তে কল দেয়।
এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের এএসআই সবুজ মিয়া ও ফজলে রাব্বী ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশ পৌছা মাত্রই প্রতিপক্ষ আফসার, ছোবাহান ও লিটনসহ কয়েকজন দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফরিদাদের বাড়ীতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক ভাবে মারধর শুরু করে।
এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ফরিদা(৩৫), মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তাবাস্সিন (৯), শাহেদ হাসানের স্ত্রী ফেরদৌসী(২৫), হামিদুরের স্ত্রী সাহেদা খাতুন(৫৫), মৃত নায়েব আলীর স্ত্রী নার্গিস খাতুন(৫৮) আহত হয়। এসময় প্রতিপক্ষ ছোবাহান মিয়া আহত ফেরদৌসীর গলা থেকে প্রায় দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় বলেন আহতরা জানিয়েছেন।
গুরুতর আহত ফরিদা ও তাবাস্সিনসহ অন্যান্যরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া