শিশুকন্যাকে আছড়ে মারলেন বাবা

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরদার মহিউদ্দিন ওরফে হুমায়ুন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিন বছর বয়সী শিশুকন্যাকে আছড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির নাম রায়েছা আক্তার।

নিহত রায়েছা দৈবকান্দি গ্রামের সরদার মহিউদ্দিন ওরফে হুমায়ুনের মেয়ে। অধরা আক্তার নামে তার পাঁচ বয়সী আরেকটা মেয়ে রয়েছে। সেনাসদস্য সরদার মহিউদ্দিন বর্তমানে পদ্মসেতু প্রকল্পের মুন্সিগঞ্জে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও মামলার বরাতে মোল্লাহাট থানার পরিদর্শক জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, ৭-৮ বছর আগে মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের সরদার মহিউদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের সামিরা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর তাদের সংসার সুখেই কাটছিল। তিন-চার বছর ধরে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। দশ দিন আগে সরদার মহিউদ্দিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মহিউদ্দিনের ঝগড়া হয়। স্বামীর সঙ্গে তার দুই ভাই ও মা বিবাদে যোগ দেয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা আড়াই বছর বয়সী শিশুকন্যা রায়েছা আক্তারকে তুলে নিয়ে বাড়ির উঠানের কলপাড়ে দুই পা ধরে আছাড় দেয়। আঘাতে শিশু রায়েছার বাম কান, নাখ ও মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শিশু রায়েছা মারা যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়েছাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই মহিউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ঘটনায় নিহতের চাচাতো নানা আব্দুল আলী শেখ বাদী হয়ে জামাতা সরদার মহিউদ্দিন, তার মা ও দুই ভাইসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া