মোঃ জামাল মল্লিক,শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে আইসোলেশনে ভর্তি থাকা সুশান্ত কর্মকার নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকার ১৮ পরিবারের ৮৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রশাসনের।
মঙ্গবার সন্ধায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ঠান্ডা, জর ও শ্বাস জনিত রোগ নিয়ে আসলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকাল ৪ টায় তাঁর মৃত্যু হয়। সুশান্ত নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কলারগাও গ্রামের অনিল কর্মকারের ছেলে। এই মৃত্যুতে কলারগাও গ্রামের ১৮ পরিবারের ৮৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের।
জানা যায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুশান্ত কর্মকার ঠান্ডা, জর,শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সন্ধায় সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয় তাকে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার সন্ধায় ঠান্ডা, জর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তিনি নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা, তাই করোনা থাকতে পারে এমন ধারণা করে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছিল। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তিনি আজ রবিবার বিকাল ৪টায় মারা যান। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে গতকাল মঙ্গলবার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। পরিক্ষার রিপোর্ট আসলে বলা যাবে সে করোনায় আক্রান্ত ছিলো কি না।