মোঃ জামাল মল্লিক,শরীয়তপুর ।।
করোনা ভাইরাসের কারনে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দুঃস্থ ও গবীব মানুষের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শরীয়তপুর লকডাউন হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অসহায় দুঃস্থ ও গবীব মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ত্রাণ পৌঁছে দেন তিনি। অসহায় মানুষ খাবার না থাকলে যাতে সহজে খাবার পেতে পারে তার জন্য খোলা হয়েছে মোবাইল সার্ভিস। এই ০১৭১৮৪১৯০৩৮ বা ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দিলেই এবং অসহায় কিনা খোজ খবর নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী।
জেলা প্রশাসক শরীয়তপুরের বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান হতে করোনা ভাইরাস বিস্তৃত রোধে প্রাপ্ত অনুদান হতে মূলত এই সহায়তা খাদ্য সামগ্রী উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । এই বিতরণ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিডিক্লিন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। এছাড়া উপজেলার সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার স্বীয় এলাকায় যদি কেউ খাদ্যাভাবে থাকে, তাহলে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ইউএনও এর পক্ষ থেকে। এতে প্রকৃতপক্ষে যারা দু:স্থতার দিক দিয়ে প্রান্তিক তাদের খুঁজে পেতে সহায়ক হচ্ছে। সপ্তাহের প্রত্যেক দিন এ সেবা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দুঃস্থ ও গবীব ২৫৯০ জন পরিবারের মাঝে মেয়র, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, এই উপজেলায় জেলা প্রশাসক স্যারের নেতৃত্বে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দুঃস্থ ও গবীব পরিবারের মাঝে, জেলা প্রশাসকের বেসরকারি ব্যক্তি,সংস্থা, প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অনুদান হতে খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি ।
ইউএনও আরো বলেন, এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। ত্রাণের জন্য কাউকে ঘড়ের বাইরে বের হতে হবে না। ত্রাণ নিয়ে কেউ অনিয়ম করবেন না। ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম হলে কাউকে ছার দেওয়া হবে না। অসহায় দুঃস্থ পরিবার যাতে ত্রাণ পায় এবিষয়ে সকলে সহযোগিতা করবেন। যতদিন করোনা সংকট শিথিল না হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করতে না পারছে ততদিন সরকারের তরফ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।