লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিদ্যমান লকডাউনের বিরুদ্ধে মিশিগান, ওহাইও, মিনেসোটা, নর্থ ক্যারোলিনা ও ওহাইহোতে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নাগরিকদের চলাফেরার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে এবং লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ পালন করতে হবে।আল জাজিরা

মিনেসোটার বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘গর্ভনর টিম ওয়ালজকে লকডাউন বন্ধ করতে হবে। গর্ভনর নাগরিকদের মুক্ত চলাচলের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করতে পারে না। কেনটাকি চুক্তির বিদ্রোহীরা ‘কেনটাকি মুক্ত করো’, ‘তুমি রাজা নয়, আমরা তোমার হাতে চুমু খাবো না’ ব্যানারে বিক্ষোভ করে। ওহাইহোয়ের বিক্ষোভকারীরা করোনা প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, আমেরিকানরা ভাইরাসের থেকে নিজেদের কিভাবে সুরক্ষা করতে হয় তা জানে। সিএনএন

এদিকে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন করে ট্রাম্প ‘মিনেসোটা স্বাধীন করো, মিশিগান স্বাধীন করো, ভার্জিনিয়া স্বাধীন করো’ টুইট করেন। ট্রাম্প আরো বলেন,‘ নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করো, এটি হরণ করা হয়েছে।’

ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন এই তিন অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই স্ট্যাটাসকে বিদ্রোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নররা। ওয়াশিংটনের গর্ভনর জে ইনসলে বলেন, ‘ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন ও মিথ্যে ছড়াচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট অবৈধ কার্যকলাপকে উস্কে দিচ্ছেন। তার মন্তব্য ভয়ঙ্কর। তিনি লাখ লাখ ব্যক্তিকে কোভিড-১৯ এর মধ্যে ছেড়ে দিচ্ছেন।’ এদিকে নিজের টুইটের পক্ষে সাফাই গেয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি ঠিক পোস্টই দিয়েছেন।

ট্রাম্পের টুইট তার পূর্বের অবস্থানের পুরোই বিপরীত। এর এক দিন পূর্বে ট্রাম্প অচলাবস্থা কাটাতে তিন স্তরের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, কিভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করবেন তা গর্ভনররাই সিদ্ধান্ত নেবেন। বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ৭ লাখ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৩৭ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেখানে ৩০ হাজার করোনায় আক্রান্ত হন ও মারা যান ৪ হাজার ৫৯১জন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া