কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর খন্ড ক্ষেত্র গ্রামে দুবৃর্ত্তরা নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় ধর্ষিত ছাত্রীর পিতা ও মাতা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা পরিবারের সবাইকে জিম্মি ও মারপিট করে স্বর্ণালঙ্কার ও এক লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গভীর রাতে ৪ সদস্যের একটি দুর্বৃত্তের দল ওই গ্রামের খন্দকার রেজা সাহলোবি রায়হান (৪৮) এর বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করে। পরে তার স্ত্রী পারভীন বেগমকে (৩৮) মারপিট করে তার স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এবং পার্শ্ববর্তি এলজিইডি খামারের পাশে ধর্ষণ করে। আহত অবস্থায় মেয়েটি পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে প্রতিবেশীরা তাকেসহ তার বাবা ও মাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রেজা সাহলোবি রায়হান জানান, তার ও তার স্ত্রীর মোবাইলে প্রায় মেয়েকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মেসেজ আসতো। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো: মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, রাজারহাট উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি, ইউএনও নূরে তাসনিম, ওসি মো: রাজু সরকারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রাজারহাট থানার ওসি মো: রাজু সরকার জানান, ২৭ জুলাই সোমবার রাতে খন্দকার রেজা সাহলোবি রায়হান বাদী হয়ে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামীয় আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
আইএনবি/ এম আ/ বি.ভূঁইয়া