রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউপির সুখদেব গ্রামে তু্চ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শাহাজাহান আলী নয়া (৪১) ও তার স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া বেগমকে রাম-দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় মোঃ শাহাজাহান আলী নয়া (৪১) বাদী হয়ে আব্দুল মান্নান বসুনিয়াকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামে ৩/৪ জনকে আসামী করে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪, তারিখ ১৪ জুন ২০২০।
রাজারহাট থানার অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউপির সুখদেব গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী নয়া (৪১) একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বসুনিয়ার নিকট ১৩ জুন সন্ধ্যায় পাওনা টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মাঝে কথার কাটা-কাটিসহ বাকবিতর্কে জড়িয়ে পরে। পরে রাত ৮টায় আব্দুল মান্নান ও তার পুত্র হাসান আলীসহ অজ্ঞাত নামে ৭-৮ জন যুবক বিদ্যানন্দ মহাবিদ্যালয়ের পাশে রাস্তায় লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র -সস্ত্র দিয়ে মোঃ শাহাজাহান আলী নয়াকে রাম-দা দিয়ে কোপায় এবং লাঠি দিয়ে মারপিট করে । তার আত্নচিৎকারে তার স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া বেগম (৩৮) ও ২ ছেলে বাবা মোঃ শাহাজাহান আলী নয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র -সস্ত্র দিয়ে বেধম মারপিট করে। ওই সময় হাসান আলী রাম-দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাইতে থাকে এবং মোছাঃ রোকেয়া বেগম(৩৮) কে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে এলাকাবাসী রোকেয়া বেগম (৩৮)সহ তাদের সকলকে উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক তিনি সাবেক ইউপি সদস্যের স্ত্রী মোছাঃ রোকেয়া বেগম (৩৮) এর অবস্থা আশংকা জনক দেখে দ্রুত কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করান।
এ ঘটনায় রাজারহাট থানা পুলিশ ২ জন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, খবর পাওয়া মাত্র আমি নিজেই থানার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২যুবককে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিদ্যানন্দ ইউপির সুখদেব এলাকার হাছেন আলীর পুত্র স্বপন রহমান (২৫) এবং আব্দুল মমিন এর পুত্র জানু মিয়া (২৬)। এ বিষয়ে রাজারহাট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে যার মামলা নং-০৪ তা: ১৪ই জুন । আসামী দ্বয়কে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আইএনবি/এ.এস.এল/ সম্পাদনা-বি.ভূঁইয়া