নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে অসহায় গোটা দেশ। বৈশ্বিক এ মহামারি মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে সরকার। জেলা–উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি করোনায় কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক ভাবে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই ভয়াবহ বিপর্যয় কালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় কিছু নেতারা সেই ত্রানের চাল আত্মসাতে লিপ্ত রয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে বেশকজন নেতা। দায়িত্বশীল নেতাদের এমন আচরনে ম্লান হচ্ছে সরকারের সব অর্জন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাই–কমান্ড। করোনায় অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের ত্রাণ লোপাট কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আলোকে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যুবলীগের কেউ ত্রান বিতরণ অনিয়ম করলে বহিস্কার করার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা ঘোষণা দেন।
বিবৃতি যুবলীগের শীর্ষ নেতারা বলেন, নভেল ভাইরাস কোভিট ১৯ এর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারনে বাংলাদেশ এর মানুষ আজ সংকটময় সময় পার করছেন। বিশ্ববাসীর সাথে আমরাও এ বিষয়ে উৎকন্ঠিত। আমরা গভীর ভাবে লক্ষ করছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল চুরির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলতে চাই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর যেকোনো শাখার নেতৃবৃন্দ যদি জড়িত থাকে, তাহলে সাথে সাথেই বহিষ্কার করা হবে এবং ভবিষ্যতে কোন ভাবেই সংগঠন করতে দেয়া হবে না।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাঁশে শুরু থেকেই দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ যুবলীগ। ভাইরাসটির প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। কেন্দ্রের নির্দেশনায় সারাদেশে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিনামূল্যে মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার, হেক্সিসলসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সামগ্রী বিতরণ করছে।
২৬ মার্চ থেকে অঘোষিত লকডাউন শুরুর পর হতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি সারাদেশে জেলা–উপজেলা ও মহানগর নেতারা প্রতিরোধ সামগ্রীর সঙ্গে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে।