যশোর প্রতিনিধি : যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বরাদ্দকৃত মোবাইল ফোনের ৪০ টি সীমের কোন হদিস নেই। সীমকার্ডগুলো কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। ফলে সীমকার্ড হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ২৯ জানুয়ারি বুধবার কোতয়ালি থানায় একটি জিডি হয়েছে। জিডি করেছেন কারাগারের নবনিযুক্ত জেলর তুহিন কান্তি। জিডি নম্বর-১৫২৩/২০।
জেলর তুহিন কান্তি জানান, ঢাকাস্থ কারা প্রিজন কর্তৃপক্ষ যশোর কারাগারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্ধশত সীমকার্ড বরাদ্দ দিয়েছিল বিভিন্ন সময়। গ্রামীন ফোন কোম্পানি থেকে কর্পোরেট সীমকার্ডগুলো সরবরাহ করা হয়েছিল। কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে বরাদ্দকৃত সীমকার্ডের ব্যবহার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কয়েকটি বাদে ৪০ টি সীমকার্ড বন্ধ। সেগুলো কোথায় আছে তাও জানা যায়নি। ফলে তিনি এ বিষয়ে কোতয়ালি থানায় জিডি করেন।
তিনি আরো বলেন যে কর্মকর্তা যশোর থেকে অন্যত্র বদলী হয়েছেন তিনি সীমকার্ড বুঝিয়ে না দিয়ে চলে গেছেন। পরবর্তীতে ওই সীমকার্ড ব্যবহার না করে হয়তো নিজের নামে নেয়া সীমকার্ড ব্যবহার করছেন। এইভাবে সীমকার্ড গুলো হারিয়ে যেতে পারে।
সীমকার্ড গুলো থেকে বন্দিরা কোন সময় কোন সুবিধা নিতো কি-না এমন প্রশ্নেন জাবাবে তিনি বলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ নতুন না। কোন কোন অসাধু কর্মকর্তা এই ধরনের সুবিধা হয়তো বন্দীদের দিয়ে থাকতে পারেন। তিনি যোগদানের পর এই ধরনের কোন অভিযোগ পাননি। তবে সীমকার্ড গুলো যদি অন্য কোথাও চলে যায় তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এ গুলোর সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ বা দেশ বিরোধী কোন কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। ফলে এ গুলোর খোঁজ নিয়ে তা উদ্ধার করা জরুরি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, সিমকার্ডগুলো কি অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
আইএনবি/বিভূঁইয়া