ভাঙ্গায় ফের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি:ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে।

এরা এলাকায় ভূইয়া ও মাতুব্বর পক্ষ নামে পরিচিত। ভূইয়া পক্ষে বর্তমানে নেতৃত্ব দেন লুৎফর ভূইয়া ও মাতুব্বর পক্ষের নেতৃত্ব দেন মওলাদাত মাতুব্বর। এ দুই পক্ষের মধ্যে অতীতে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ আজ সোমবার দুই পক্ষের কয়েক শত লোক ঢাল, সরকি, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় সংঘর্ষ চলে। এতে গুরুতর আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় তিনটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভূইয়া পক্ষের জাফর ভূইয়া বলেন, ‘গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আমাদের পক্ষের হান্নান ভূইয়ার ছেলে ইমন ভূইয়াকে (২২) ফোনে ডেকে নিয়ে মাতুব্বর পক্ষের কিশোররা মারধর করে। আহত অবস্থায় ইমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোমবার মাতুব্বর পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে।

আমাদের পক্ষের তোফা ফকিরের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।’
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মাতুব্বর পক্ষের মিন্টু মাতুব্বর বলেন, ‘ভূইয়া গ্রুপের ইমনসহ কয়েকজন গত কয়েক দিনে আমাদের পক্ষের রিপন, তামিম, মুরাদকে মারধর করে। সোমবারও ভূইয়া পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের পক্ষের যুবরাজ মাতুব্বর ও নুরুল হক মোল্লার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।’

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুজারপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আইএনবি /বিভূঁইয়া