আইএনবি নিউজ: জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্যরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা রোগীদের আজ কতটুকু চিকিৎসা দিতে পারছি না খতিয়ে দেখতে হবে। দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরকে সংস্কারের দাবি জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে সরিয়ে অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি তার এলাকার মানুষের কথা বলে বলেন আমার এলাকার লোকেরা সাবেক কৃষি মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার কথা বলছে। তারা বলছেন আপনি আমাদের এই প্রস্তাবটি সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন।তাই এ প্রস্তাবটি তুলে ধরলাম।
মঙ্গলবার স্পী কার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ-বছরের বাজেটের ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য খাতের ২৪ নং দাবিতে ৯ জন সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর ওপর আলোচনা হয়। এই আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ।
এই আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণ মনে করে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মিনা কার্টুনের টিয়া পাখির দ্বারা চলছে। তিনি বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সেইসব গ্রামের মানুষ আমাকে বলেছেন, আপনি তো সংসদে কথা বলতে পারেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়ার কথা বলেছেন সাধারণ জনগণ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের এই কথাটি জানালাম।
বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে চরম অব্যবস্থা-অনিয়ম চলছে। ফোন করেও মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। তিনি বলেন, আজ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভারতমুখী হয়ে পড়েছে। বিগত দিনে চিকিৎসা নিতে ১ কোটি মানুষ ভারতে গেছে। এভাবে স্বাস্থ্য খাত চলতে পারে না।
জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি সোনার হরিণের মতো। ভর্তি হলেও ৪/৫ লাখ টাকার বিল গুনতে হচ্ছে। কোন সমন্বয় নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের। মন্ত্রী বলেন এক কথা। স্বাস্থ্য ডিজি বলেন আরেক কথা।
জাপার মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি একটি নির্দেশনা দেন যাতে মন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তা হলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা উন্নত হবে।
সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পীকার জানান, দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নয়জন সংসদ সদস্য এই ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা সময় বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি নিয়ে আলোচনা হবে।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া