এমডি বাবুল ভূঁইয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অলিখিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার জন্য বিশ্ববাঙালি সম্মাননা পেলেন জেলার কসবা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের কৃতি সন্তান কবি ও গবেষক এস এম শাহনূর।
গত ২৯/১১/২০১৯ইং-শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন অডিটরিয়াম কক্ষে দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ সামাদ এবং সাবেক সাংসদ ও উপমহাদেশে কাব্য শ্রী খ্যাত কবি কাজী রুজি এ সম্মাননা তুলে দেন।
বিশ্ববাঙালি সম্মাননা প্রাপ্ত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন; কবি ও টিভি ব্যক্তিত্ব শাশ্বতী ভট্টাচার্য (ভারত), কবি ও গবেষক শিশির দাশ গুপ্ত (ভারত), ড. মৃণাল কান্তি দেবনাথ (ভারত), সংস্কৃত গবেষক অধ্যাপক ড. অর্পণা নাথ (ভারত), কবি ও সংগঠক তপোব্রত মুখোপাধ্যায় (ভারত), এবং স্বাধীনতার ডাক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা নাসরিন ইসলাম (বাংলাদেশ)।
এস এম শাহনূর তাঁর বক্তৃতায় বলেন,”আমার জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা এবং আলো বাতাস, প্রকৃতি আমার গ্রাম বল্লভপুরে। আমি সুধীজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ,ওখানকার পরিবেশ, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও মানুষের স্নেহ,ভালোবাসাই আমাকে কবি ও লেখক হতে সহায়তা করেছে। তাই আমার সৃষ্টি কর্মের জন্য প্রাপ্ত প্রশংসা, সম্মাননার ভাগিদার আপনারা সবাই। তিনি বলেন,আমাকে দেওয়া বিশ্ববাঙালি স্মারক সম্মাননা আমি সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসির জন্য উৎসর্গ করলাম। তখন হল ভর্তি সকল স্রোতারা করতালির মাধ্যমে কবিকে অভিনন্দন জানান।
বক্তারা বলেন, এস এম শাহনুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা সারা বাংলাদেশের গর্ব। তিনি অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব পরিমন্ডলে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে সম্মান বয়ে আনবেন এটা আমাদের সকলের বিশ্বাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান হিসেবে আমরা গর্বিত, এই সম্মাননা আমাদের বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আরো উজ্জ্বল করে তোলবে।
শত ব্যস্ততার মাঝেও ধারাবাহিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামকরণ নিয়ে বিশদ ও নিখুঁত ভাবে লিখে যাচ্ছেন তিনি।
তাছাড়াও এলাকাবাসি সহ বিভিন্ন স্তর ও পেশার মানুষ তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন।
আইএনবি/বিভূঁইয়া