আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লির সহিংসতার ঘটনায় ট্রাম্পের বক্তব্যের বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট পোস্টে সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স।
টুইট পোস্টে বার্নি বলেন, ভারতে দুইশ মিলিয়ন মুসলমানের বসবাস। মুসলিম বিরোধী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন ও আহত হয়েছে অনেকে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছে, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার ইস্যুতে এটি বিশ্ব নেতৃত্বের ব্যর্থতা।
ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় দিল্লির সহিংসতা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দিল্লিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমি মোদির সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা বলেনি। দিল্লির ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
আর ট্রাম্পের এই বক্তব্যের জেরে বুধবার টুইটটি করেন বার্নি স্যান্ডার্স।
বার্নি স্যান্ডার্স দ্বিতীয় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ভারতের সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন সিএএ’র সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ছাড়াও মার্কিন অনেক সিনেটর দিল্লির সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্র্যাট পার্টির সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের হয়ে জনি করিন একটি যৌথ বিবৃতিতে জানান, নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সহিংসতায় আমরা শঙ্কিত। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের অগ্রযাত্রার লক্ষ্যে উদ্বেগের বিষয়ে আমরা খোলামেলা সংলাপের জন্য সমর্থন জানায়।
এছাড়া কংগ্রেসম্যান জেমি রাসকিন জানান, ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং ধর্মান্ধতার দ্বারা উজ্জীবিত হওয়া সহিংসতায় তিনি আতঙ্কিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সম্পর্কিত কাউন্সিলর প্রধান রিচার্ড এন হাস জানান, ভারতের আপেক্ষিক সাফল্যের কারণ হল দেশটির বিশাল মুসলিম সংখ্যালঘুরা নিজেদের ভারতীয় হিসাবে দেখে। তবে রাজনৈতিক স্বার্থে এটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত মার্কিন কমিশন ভারত সরকারকে তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া