নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজসে কর্মকর্তাদেও বদলি করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না নিয়ম। আর এর পেছনে রয়েছেন খোদ বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার। তিনি যোগদানের পর হতেই নিজস্ব লোকজন দিয়ে অফিসের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ মতে, বাংলাদেশ বেতারের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে গত ১৪ই জানুয়ারী যোগদান করেন বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্ত) হোসনে আরা তালুকদার। বাংলাদেশ বেতারের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে তিনি এ পদে যোগদান করেন। নানা অনিয়ম করে এ পদে তিতি যোগদান করার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন।
মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে অফিসের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত পরিচালনা করছেন। তার নিজস্ব লোকজনদের মধ্যে রয়েছে গার্ড ফজলু ও গাড়ী চালক নবী হোসেন ও চৌকিদার ফজলু।
সূত্র জানায়- বাংলাদেশ বেতারের নিরাপত্তা শাখার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দীর্ঘ দিন ধরে বেতার ভবনের অভ্যন্তরে রাত্রি যাপন করছেন। ফজলুকে অন্যত্র বদলী করা হলেও নবী হোসেন রয়েছেন বহাল তবিয়তে। চৌকিদার ফজলুর বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বদলী করা হয়। অথচ নতুন মহাপরিচালক যোগদানের এক মাসের মধ্যে পুনরায় তাকে বদলী আদেশ প্রত্যাহার করে নিজের কাজে ব্যবহার করছেন। হোসনে আরা তালুকদার যেখানেই যান নবী হোসেনকে তার সাথে নিয়ে চলাফেরা করেন।
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা যায়। নতুন মহা-পরিচালক এ পদে যোগদান করেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে মহা-পরিচালকের একান্তভাজন চৌকিদার ফজলু ও নবী হোসেন সাধারণ কর্মচারীদেরকে বদলীর ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে উৎকোচ। বেতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং চতুর্থ শ্রেণীর নেতাদের চুরি সংক্রান্ত অভিযোগে গার্ড জাকিরকে চট্টগ্রাম বদলী করার পর ফজলু চৌকিদার তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে জাকিরকে পুনরায় পূর্বের কর্মস্থলে মহা-পরিচালকের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনেন।