আইএনবি নিউজ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সাড়ে চার দশক আগে হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণের দায়ে ক্যাপ্টেন (চাকরিচ্যূত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে, শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। এছাড়াও কারাগারে প্রবেশ করেছেন কারারক্ষী, জেলার, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জন। পাশাপাশি কারাগারের বাইরে এনে রাখা হয় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স।
একইদিন দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রেকি করেছে জল্লাদরা। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে এই জল্লাদ টিমটিতে রয়েছেন মনির ও সিরাজ। ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শুক্রবার রাতে তার স্বজনরা কারাগারে শেষ দেখা করেছেন।
এদিকে, নতুন স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই হবে প্রথম ফাঁসি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হবে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন।
কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) লে. কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, যে কোন সময় এই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। ফাঁসি কার্যকর করতে কারাগারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্বজনরা শেষ দেখাও করেছেন।
ইত্তেফাক
আইএনবি/বিভূঁইয়া