নাটোর প্রতিনিধি:নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের স্ত্রী নিহত সুমাইয়া। তার বাবার বাড়ি যশোরে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
সুমাইয়ার বাবার বাড়ির স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে সুমাইয়ার শশুর জাকির হোসেন ফোন করে সুমাইয়ার মা নুজহাতকে বলেন তার মেয়ে অসুস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এসে দেখে যান। তখন পরিবারের লোকজন সবাই মিলে হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পায়।
তার স্বামী মোস্তাক বা শ্বশুরবাড়ির কোন সদস্যকে সেখানে দেখা যায়নি। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে তারা ঘটনাটি সদর থানা পুলিশকে জানায়।
সুমাইয়ার চাচা মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল মোস্তাক হোসাইনের সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স এ ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
মা নুজহাত বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমাইয়ার পড়ালেখা ও পরে চাকরি করার ইচ্ছা মেনে নিতে পারছিল না। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগেও তাকে ঘরে আটকে রেখে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানায়, সুমাইয়ার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মামলার ৪ নং আসামি নিহতের ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রথমে এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে ইউডি মামলা করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সুমাইয়ার পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগ আসায় রাতে নিহতের স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া