আইএনবি নিউজ:সামছুদ্দীন আহমেদ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, উত্তর পূর্ব দিকে সরে আজ ভোরে পাবনা অঞ্চল হয়ে উত্তর দিকে চলে যাবে আম্ফান। এর গতিপথ এখন জামালপুর ও কুড়িগ্রামের দিকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারা রাত ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হবে বিভিন্ন জেলায়। সকালে রাজশাহী অঞ্চলে গিয়ে সুপার সাইক্লোন আম্ফান নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর সীমান্ত পার হবে।
আম্ফানের তাণ্ডবে পাঁচ জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ভোলায় রামদাসপুর চ্যানেল ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে একজন ও চরফ্যাশনের শশীভূষণ এলাকায় গাছচাপা পড়ে ছিদ্দিক ফকির নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। পটুয়াখালীতে শিশুসহ দুজন, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরেও নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া যশোরে গাছ চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।নোয়াখালীর সন্দ্বীপে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বেড়ি বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসল ও মাছের ঘেরের। বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে গাছপালা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২৪ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিলো।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা (সুন্দরবন এলাকা) অতিক্রম করছে। আগামী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন সাগর এলাকা উত্তাল রয়েছে।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া