আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্য সাগরে ফেলার সিদ্ধান্তকে সমর্থন।
২০১১ সালে সুনামির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাপানের ফুকুশিমার দাই-ইচি পরমাণু কেন্দ্র। সুনামির সময় প্ল্যান্টটিতে কয়েক মিলিয়ন টন পারমাণবিক বর্জ্য মজুদ ছিল। কিন্তু সুনামির পরবর্তী সময়ে প্ল্যান্টটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্জ্যগুলো গলতে শুরু করে। আর বর্জ্য কি করা হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে একটি প্যানেল করে জাপান সরকার।
গত মাসে জাপানের সরকারি প্যানেলটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সাগরে ফেলা বা বাষ্পে পরিণত করার জন্য সুপারিশ করে। কিন্তু জাপানি জনগণের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসি টোকিওতে সাংবাদিকদের জানান, জাপানের সরকারি প্যানেল যে দুটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা উপযুক্ত। এটি কখন ও কোথায় ছাড়া হবে তা জাপানের সরকারের ওপর নির্ভর করে।
তিনি আরও জানান, আমাদের চূড়ান্ত বিশ্লেষণ এখনো সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু আমি ইতিমধ্যে বলতে পারি এটি একটি নিয়মানুগ উত্থাপন। বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিষ্কাশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গ্রসি আরও জানান, সমুদ্রে পারমাণবিক বর্জ্য ফেলানো নতুন নয়। তবে এটি যে ক্ষতিকারক নয় তা জানার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি করা উচিত। বর্জ্য ছাড়ার আগে ও পরে এই মনিটরিং কমিটি কাজ করবে।
পারমাণবিক প্ল্যান্টের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসে। এর মধ্যে প্ল্যান্টকে শীতলীকরণ রাখতে যে পানি ব্যবহার হয় তাতে তেজস্ক্রিয়তা থাকতে পারে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ও বৃষ্টির যে পানি প্রতিনিয়ত প্ল্যান্টে প্রবেশ করছে তাতেও তেজস্ক্রিয়তা থাকতে পারে।
জাপানের এই বর্জ্য সরাসরিভাবে পরিবেশে ফেলানো একটি বিতর্কিত বিষয়। জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলো প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এছাড়া জাপানের জনগণ ও দেশটির জেলেরা সাগরে বর্জ্য ফেলনো নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া