নেত্রকোনায় কিশোরী শ্যালিকা ধর্ষণের পর হত্যা করেন দুলাভাই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর কাছ থেকে হাফসানা বেগমের (১৬) লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, কিশোরীটি দুর্গম পাহাড়ের চূড়ায় কচুর লতা তুলতে গেলে তার দুলাভাই তাকে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনা প্রকাশ করে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যা করেন দুলাভাই। এদিকে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে এক যাত্রীকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পদ্মার চরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে তিন বখাটে।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী গতকাল বিকেলে সম্মেলনকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মাদরাসাছাত্রী হাফসানার দুলাভাই কলিকাপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে আবুল কাশেম পাহাড়ে শ্যালিকাকে একা পেয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। হাফসানা ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বলায় তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন কাশেম। পরে হাফসানার জন্য কাশেমের অতি কান্নাকাটি এবং ঘটনার দুই দিন পর তাঁর ওপর মুখোশধারীদের হামলার কথা বললে তিনি তদন্ত ভিন্ন দিকে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপর পুলিশ কাশেমকে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। গতকাল তিনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের কলিকাপুর গ্রামের হাফসানা গত ১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে মায়ের কথায় রান্নার জন্য কামারখালী টিলার পাশে কচুর লতা তুলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে পরিবার তাকে খুঁজেও পায়নি। ২ জুলাই সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে ঝরনা থেকে পানি আনতে গিয়ে একটি গর্তে লাশ পড়ে থাকতে দেখে দুর্গাপুর থানায় জানায়। পুলিশ রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে থেকে মুখে কাপড় গোঁজানো ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া