মোঃ জামাল মল্লিক,শরীয়তপুর ।।
করোনা ভাইরাসের কারনে শরীয়তপুরে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে ভিক্ষা করতে না পারায় অসহায় নূরজাহান বেগমের। ঘরে এক মুঠো চাল নেই তার, দু’দিন না খেয়ে পরিবার।কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে কারো কাছে ভিক্ষাও পায়নি সে।
নুরজাহান ও তার পরিবারে না খেয়ে থাকার খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল সাথে সাথে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুর রহমান শেখ নুরজাহান বেগমের বাড়িতে ৬ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল , ২ কেজি আলু, ২ কেজি তেল, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, মুড়ি, সাবান, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেন।
খাবার পেয়ে নুরজাহান বেগম বলেন, এ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই পাই নাই,আজ দুইদিন ধরে না খেয়ে আছি। ভিক্ষা করতে গিয়েও ভিক্ষা পাইনি।সাংবাদিকদের কাছে খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ইউএনও স্যার আমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন। আজ দুইদিন পরে অন্ধ স্বামী, ছেলে, মেয়ে ও ঘরে দুইটা পতিবন্ধী শিশু আছে ওদের মুখেও কিছু খাবার দিতে পারবো।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুর রহমান শেখ বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কুড়াশি গ্রামের বাসিন্দা নুরজাহান বেগম,বয়স পঁয়ষট্টি অন্ধ শ্বামী মজিবর বেপারীর ঘরে খাবার নেই। দুদিন না খেয়ে আছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ডিসি স্যারের নির্দেশে তার বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। যতদিন করোনা সংকট শিথিল না হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরছেন না ততদিন সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ লকডাউন শুরু পর হতে শরীয়তপুর সদর ইউএনও মাহাবুর রহমান শেখ কর্মহীন মানুষের মধ্য খাদ্য সামগ্রি বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।