দুদকের কোনো গ্রেফতারের এখতিয়ার নেই: প্রধানমন্ত্রী

আইএনবি নিউজ:সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কাউকে গ্রেফতার চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিতে পারে, কিন্তু তাদের গ্রেফতার করার কোনো এখতিয়ার নেই বলে ।

পুলিশ সদস্যদের দাবির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা একটা দাবি করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে, প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিআরটিএ, বিআইডব্লিউটিএ, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি কমিশন। দুর্নীতি দমন কমিশনে ইতোমধ্যে কিন্তু পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর অন্য জায়গাগুলোতে আমিও মনে করি সেখানে পুলিশের প্রতিনিধি থাকা দরকার। সেটা আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো গ্রেফতার করার এখতিয়ার নেই, মাঝখানে আমরা শুনেছিলাম, আইন- ‍শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলতে হবে। তারা নির্দেশ দিতে পারবে। তারা ধরে এনে কমিশনকে হাজতখানা বানাবে এটা ঠিক না, যার যার কাজ সে সে করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখলাম, পুলিশের বাজেট মাত্র ৪০০ কোটি টাকা। প্রথমবার সরকারে এসেই বাজেট দ্বিগুণ করেছিলাম। পুলিশ রেশনসহ সব দ্বিগুণ করে দিলাম। একটানা ধারাবাহিকভাবে আমরা রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছি যার ফলে পরিকল্পনা মাফিক অর্থনীতি শক্তিশালী করতে পেরেছি, স্বচ্ছলতা আনতে পেরেছি, বাজেট বৃদ্ধি করেছি, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজিয়েছে। তবে এ অবস্থায় খুব সহজেই করতে পেরেছি তা না। জ্বালাও পোড়াও, নেতাকর্মীদের হাত কাটা, পা কাটা, এমনকি পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা- এসব নৃশংসতা আমরা দেখেছি।

তিনি বলেন, আ্ইনশৃঙ্খলা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, উন্নত হয় এর বড় দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর, আপনারা সেটা করতে পরেছেন- এজন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনারা এটা না করতে পারলে হয়ত আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা করতে পারতাম না। আমরা মানুষের উন্নয়ন করতে চাই, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাই- এগুলো নির্ভর করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের ওপর।

পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের কাঠামো সংস্কার করে দিয়েছি। জনবল বাড়াচ্ছি, জনবলের সাথে সাথে সেই আনুপাতিক হারে পদ সৃষ্টি করতে হবে। এরইমধ্যে ২১৫ টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।ডিজিটাল যুগের সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইমের ধরনও পাল্টায়। এজন্য তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।

আইএনবি/বিভূঁইয়া