চেয়ারম্যান গৃহকর্মীর ফাঁস লাগানো লাশ নিয়ে হাসপাতালে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ৬ নং সিংধা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনের বাসার কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চেয়ার‍ম্যান নিজেই ওই গৃহকর্মীর লাশ নিয়ে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে যান। শনিবার (৯মে) সন্ধ্যার পূর্বে চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল রোডের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরী মারুফা (১৪) সিংধা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের আলী আকবরের মেয়ে। দুই বছর পূর্বে এ বাসায় কাজ করতে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান। কিশোরীর মা চেয়ারম্যানের ছেলের ঢাকাস্থ বাসায় গৃহকর্মীর কাজ কাজ করেন।

বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম জানান, আমাদের ৬ নং সিংধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মোহনগঞ্জ বাসায় মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে খবর পাই। পরে চেয়ারম্যান পুলিশকে না জানিয়েই নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সন্দেহ রয়েছে বলেই মানুষ এ নিয়ে গুঞ্জন করছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ খান জানান, চেয়ারম্যানের বাড়ির পিছনে বড়ই গাছে বিকালে পরিত্যাক্ত কারেন্টের তার গলায় প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। পরে চেয়ারম্যান নিজেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। মেয়ের মাকে খবর দিয়েছি ঢাকা থেকে আসতে।

বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার হলেও পুলিশকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান নিজেই হাসপাতালে লাশ নিয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ওই কিশোরীর গলায় দাগ থাকলেও মুখ হা করা নেই, জিহ্বাও ভেতরে। স্বাভাবিক মৃত্যুর মতোই দেখা যায়। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আকিদা খানম শান্তা জানান, বিকালে চেয়ারম্যান নিজেই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা তাকে পরীক্ষা করে মৃত পাই।

আইএনবি/বিভূঁইয়া