ক্রীড়া ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ১০০ মিলিয়ন ডলার লোকসানের সম্মুখীন হতে পারে। যদি এ বছর দলের ভারত সফর বাতিল হয়ে গেলে এ লোকমান হবে জানিয়েছেন সিএ প্রধান নির্বাহী। কেভিন রবার্টস জানান, ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত চার টেস্ট সিরিজটি পাঁচ ম্যাচ করার বিবেচনা করছিল অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের বদলে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ বেশি খেলার চিন্তা-ভাবনায় ছিল।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। করোনাভাইরাসের কারণে সেটিও এখন হুমকির মুখে। তবে আইসিসি বিকল্প পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। রবার্টস বলেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব শুরুর পর থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইতোমধ্যে ১২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ভারত সফর বাতিল হয়ে গেলে এ ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।
এক ভিডিও কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে রবার্টস বলেন, ‘যদি আপনি আন্তর্জাতিক মৌসুমের সম্ভাবনার চিন্তা করেন, এটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তবে আমাদের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ইস্যু রয়েছে। তাই সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারত বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল, প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটে। অস্ট্রেলিয়া দলের সফর স্বাগতিক আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। রবার্টস বলেন, ভবিষ্যতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা ছিলো। যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজের সমতুল্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী মৌসুমে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আমরা জানিনা তবে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। পরিস্থিতির কাছাকাছি না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন সম্ভাবনাকেই বাতিল করবো না।
রবার্টস যোগ করে আরও বলেন, খেলোয়াড়দের বেতন হ্রাসের কারণে সৃজনশীল সমাধানের দরকার হতে পারে। বেতন হ্রাস করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে বেশিরভাগ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। এ বছর বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয় হতে পারে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া