চট্টগ্রাম প্রতিদিন : ঘুষ লেনদেন ও দরপত্রের প্রকৃত মূল্যের ৫ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের ডিসি ক্যাপ্টেনসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দরপত্র দিয়ে কয়েকশ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেনের তথ্য পেয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম চট্টগ্রাম বন্দরে অনুসন্ধান পরিচালনা করে।
অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম বন্দর নৌ-বিভাগের আওতাধীন মেরিন ওয়ার্কশপ ১৯ ডিসি ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, মেরিন ওয়ার্কশপের নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ ও মো. মহিউদ্দীন।
দুদক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে বন্দরের ১৯ ডিসি ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম ও দুই নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে এ বিষয়ে নথিপত্র, ফাইল ও দরপত্রদাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকাসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নথিপত্র ও ফাইলগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কমিশন বরাবরে সুপারিশ করা হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া