করোনা ভাইরাস: দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’

আইএনবি ডেষ্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশটির সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেছেন, দেশ বড় ধরনের সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করার লড়াইয়ে আগামী কয়েকদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু এবং ৬ শতাধিক আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতালি ও ইরান ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইতালিতে মিলান ও ভেনিসের কাছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কঠোর কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ বিশেষ অনুমোদন ছাড়া মানুষ ভেনেটো ও লোম্বার্ডির একাধিক শহরে মানুষ প্রবেশ করতে ও বেরিয়ে যেতে পারবে না।

ইরানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়েছে। বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ছয়জনের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সরকার ২৯ জন আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করেছে। রবিবার থেকে ১৪টি প্রদেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেগুতে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী ও হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। দেগু দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ২৫ লাখ জনসংখ্যার এই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় মানুষজন বলতে গেলে চোখেই পড়ছে না। লোকজনের ভয়, তাদের শহরের পরিণতি না যেন উহানের মতো হয়।

চীনের পরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত করা হয়েছে। চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া জাপানে একটি জাহাজে ৬ শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।

মন্ত্রী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট মুন বলেছেন, কোভিড-১৯ ভয়াবহ মোড়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে সর্তকতার মাত্রা সর্বোচ্চ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দ্রুত সাড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা হয়েছে।

এদিকে, রবিবার দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৬৯ জন নতুন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৫ জন একটি খ্রিস্টান গির্জা এলাকার। এই গির্জা ঘিরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৯ জনে।

শনিবার কোরিয়ার একটি বিমানকে বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল। একই সঙ্গে দেশটি দক্ষিণ কোরীয় ও জাপানি ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আইএনবি/ এনএম