আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বিশ্ব কাঁপছে করোনা ছোবলে। সেই হামলা চীন থেকে ছড়িয়ে ইউরোপ ও আমেরিকায় মারণঘাতি করোনায় মৃত্যুর মিছিল শুরু করেছে। অথচ, ভারত ও চীনের প্রতিবেশী ভুটান নীরব লড়াইয়ে নেমে করোনার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীন থেকে যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে তাতে বিশ্বজুড়ে ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষাধিক সংক্রামিত। শুধু শুক্রবার পর্যন্ত ভুটানে কোনও করোনা রোগী নেই।
ভুটান সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে থাকা সর্বশেষ ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভুটানের নিকট প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যে করোনা রোগী চিহ্নিত এবং বহুজনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। চলছে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা ও কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা।
এদিকে কলকাতায় করোনা রোগী চিহ্নিত এবং আসমে করোনা আক্রান্তের নিখোঁজে চিন্তিত ভুটান সরকার।
কারণ চীন ও ভারতের মধ্যবর্তী দেশ ভুটান। থিম্পুর সংবাদ মাধ্যমের এক রিপোর্টে জানা গেছে, দেশজুড়ে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাকে জনগণ জীবন যাপনের একটি নতুন পদ্ধতি বলেই মেনে নিয়েছেন। ভারত সীমান্ত সংলগ্ন সবকটি চেকপোস্ট দিয়ে আসা যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
এদিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং আগেই জানিয়েছেন, চীনসহ বিশ্ব পরিস্থিতি নজরে রেখে প্রয়োজনমত করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে প্রস্তত আমরা। এর জন্য দেশজুড়ে সর্বত্র জীবাণুনাশক বিলি, মোবাইল করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা।
চীনের স্থল সীমান্তে থাকা যে ১৪টি দেশ রয়েছে তার মধ্যে ভারতসহ কমবেশি ১২টি দেশেই করোনা প্রবেশ করেছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি জানতে দেয়নি সেই দেশের একনায়ক শাসক কিম জং উন। আশঙ্কা উত্তর কোরিয়াতে সর্বাধিক মৃত্যু হলেও তার তথ্য চাপা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ রাশিয়াতেও করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
আর গণস্বাস্থ্য কর্মসূচির কড়া নিয়মানুবর্তিতার উদাহরণ তৈরি করে ভুটানে করোনা প্রতিহত কর্মসূচি বিশ্বে নজর কাড়ছে। প্রশ্ন আদৌ কি ভুটান এই ভাইরাস বিরোধী যুদ্ধে দুর্গ টিকিয়ে রাখতে পারবে।
যতটুকু ভুটান দেশটিকে দেখেছি, ও এই ড্রাগনভূমিকে উপলব্ধি করতে চেয়েছি, তাতে স্পষ্ট গণস্বাস্থ্য কর্মসূচিকে গণবণ্টনের আওতায় এনে নীরব ভুটান আদতেই যুদ্ধের ঘণ্টা বাজিয়েছে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া