আইএনবি নিউজ: খুলনা,বরিশাল সহ সারাদেশে লম্বা ছুটি ও সেলুন বন্ধ থাকায় মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ন্যাড়া হচ্ছেন। সেই ছবি পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার গ্রামের সমবয়সীরা সবাই একসঙ্গে ন্যাড়া হয়ে একসঙ্গে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রবীণরা বলছেন, চৈত্রের তীব্র গরমে মাথা ন্যাড়া করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে গরম কিছুটা কম লাগবে।
তসলিম আহমেদ তাজ নামে একজন জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে কয়রা উপজেলার নিজ গ্রামে চলে আসি। এরপর গাড়ি বন্ধের কারণে কর্মস্থলে ফিরতে পারিনি। এখানে কোনো দোকান-পাট খোলা নেই। এছাড়া তীব্র গরমে থাকতে না পেরে চুল কেটে ফেলেছি। আমরা দেখা দেখি গ্রামের সমবয়সী ৪৮ জন একসঙ্গে ন্যাড়া হয়েছে।
পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ন্যাড়া হয়েছেন জেলা পরিষদের ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ রানা। তিনি জানান, গরমের কারণে মা ছোটদের চুল কেটে দিয়েছেন। পরে সেলুন বন্ধ থাকায় আমিও চুল কেটে ফেলেছি। এখন ভালোই লাগছে।
হঠাৎ করেই বরিশাল নগরসহ গ্রামে-গঞ্জে মাথা ন্যাড়া করার হার বেশ বেড়েই চলেছে। রীতিমতো মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে বলা চলে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি লক্ষ করা গেছে। শুধু ন্যাড়া হয়েই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন না, নানা ভঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সেই ন্যাড়া মাথাসহ ছবি পোস্ট করছেন তারা।
করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে এমন দৃশ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হলেও যারা ন্যাড়া হচ্ছেন তারা বলছেন নিছক মনের বাসনা কিংবা ভালো লাগা থেকেই এমনটা করছেন তারা। আবার অনেকে জানিয়েছেন, পাশের বা পরিচিত কারও একজনের ন্যাড়া হওয়া দেখে তিনিও উৎসাহিত হয়েছেন।
এভাবে সম্প্রতি ন্যাড়া হওয়ার মধ্যে তরুণদের পাশাপাশি বরিশালের বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, ছাত্রলীগ নেতা, চাকরিজীবী, শ্রমজীবীসহ অনেকেই রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই ন্যাড়া হওয়ার পর কোনো না কোনো ভঙ্গিতে ছবি তুলে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আইএনবি/বিভূঁইয়া