গবেষণা করতে বলেছি, কচুরিপানা খেতে বলিনি: পরিকল্পনামন্ত্রী

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমে তার বক্তব্য সঠিকভাবে আসেনি উল্লেখ করে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের শুদ্ধচর্চার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। এম এ মান্নান বলেন, ‘বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে। আমরা একটা সংরক্ষণবাদী জাতি। পান থেকে চুন খসার প্রবচন আর কোনও ভাষায় আছে কীনা জানি না। এসব ব্রাহ্মণ্য ছুৎমার্গ বাদ দিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা হবে সীমাহীন। এটা বলা যাবে না, এটা করতে পারবেন না, জাত গেল—এসব ছাড়তে হবে। আমি বলেছিলাম, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করেন। কেউ যদি খেতে পারে ক্ষতি আছে? কেউ একজন সেসময় বললো, কচুরিপানা গরু-ছাগল খায়।’

তিনি বলেন, ‘থাই গবেষকরা গবেষণা করে পেয়ারা থেকে বিচি উঠিয়ে দিয়েছে, আমরা খাচ্ছি। এসব প্রযুক্তি কি আমাদের দেশে সম্ভব না? সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি, আরও গবেষণা করেন। কাঁঠালের আমসত্ব একসময় বইয়ে ছিল, এখন বাস্তবে আছে। এসব তো হয়েছে। আমি নাকি মানুষকে বলেছি কচুরিপানা খান। এটা আমি বলিনি। আমি কী বাঙলার মানুষ না, আমার বাবা-মা কি বাঙলার মানুষ না? কচুরিপানা ফুল আমি নিজে খেয়েছি। বেসনে ভেজে মা খাইয়েছেন। এসব মিস করি।’

আইএনবি/এনএম