ঢাকা : পিএসজিতে নাম লেখানোর পর কাল রাতে প্রথম গোল পেলেন লিওনেল মেসি। ফরাসি ক্লাবটিতে যত দ্রুত সম্ভব নিজের গোলের খাতা খোলা দরকার ছিল—সেটি করতে পেরে আনন্দিত মেসি।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর কাল চতুর্থ ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন মেসি। ফ্রেঞ্চ লিগে দুটি ম্যাচ খেলেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি। নতুন ক্লাব বলেই হয়তো এই ম্যাচগুলোতে মেসি ঠিক নিজের মতো করে জ্বলে উঠতে পারেননি। তার পরও গোল পেয়ে যেতে পারতেন আগেই। ক্রসবার তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দুটি ম্যাচে। গোল কেন পাচ্ছেন না—এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কাল গোল পেয়ে সেসব আলোচনায় আপাতত রাশ টানতে পেরেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
প্রথম গোল পেয়ে নিজের আনন্দটা চেপে রাখতে পারেননি মেসি। বোঝাই গেল, গোল পেতে কতটা মরিয়া ছিলেন তিনি, ‘আমি খুবই খুশি যে গোল করতে পেরেছি।’
নতুন জায়গা, নতুন দল, একঝাঁক নতুন সতীর্থ। দীর্ঘদিনের ক্লাব ছেড়ে আসার পর এসবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া—কাজটা সহজ নয় মেসির মতো তারকার জন্যও। ব্যাপারটি আবারও তুলে ধরেছেন তিনি, ‘আমি পিএসজিতে আসার পর খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। পার্ক দেস প্রিন্সেসে এটা আমার দ্বিতীয় ম্যাচ। আমি ধীরে ধীরে আমার নতুন পরিবেশ, নতুন ক্লাব আর নতুন সতীর্থদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছি।’
কাল নেইমার, এমবাপ্পের সঙ্গে মেসির রসায়নটা মন্দ ছিল না। মেসির গোলেও এমবাপ্পের একটা ছোট্ট সহায়তা ছিল। আপাতত নেইমার আর এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের সমন্বয়টা ক্ষুরধার করে তোলাই লক্ষ্য মেসির, ‘আমরা যত বেশি একসঙ্গে খেলব, তত বেশি দলের কাজে আসতে পারব। সবাইকে একসঙ্গে উন্নতি করতে হবে। মান বাড়াতে হবে একই সঙ্গে। আমরা আজ ভালো খেলেছি। সামনের ম্যাচগুলোতেও আমাদের নিজেদের সেরাটা দিয়ে যেতে হবে।’
কাল পিএসজির হয়ে মেসির প্রথম গোলটা যে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এল, এটাও রোমাঞ্চকর এক ব্যাপারই। ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বার্সেলোনায় পেপ গার্দিওলার অধীনে খেলেছেন মেসি। ২০১২ সালে গার্দিওলা কোচের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর গতকালের আগপর্যন্ত মেসি কখনোই গার্দিওলার কোনো দলের বিপক্ষে গোল করেননি। কাল সেটিই করলেন। গার্দিওলা অবশ্য শুভেচ্ছাই জানিয়েছেন মেসিকে, ‘মেসির প্রতি আমার সব সময়ই শুভকামনা আছে। আমি চাই মেসি পিএসজিতে আনন্দে থাকুক এবং এখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করুক। আজ মেসির সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগল।’