আইএনবি ডেস্ক: হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন , বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ভোরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে হাসাড়ায় ঢাকামুখী লেনে সামনে থাকা একটি যানের সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের চালক-হেলপার নিহত ও অপর পাঁচজন আহত হন। তবে হতাহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় মাওয়ামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা কভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয় আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি বাস। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে হেলপারসহ দুইজন নিহত ও ১৬ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- বাসের হেলপার শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাও গ্রামের মো. জীবন এবং যাত্রী সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রায়হান।
তাদের মরদেহ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলেও জানান হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী।
তিনি বলেন, সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকার দুর্ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান ও বাসটি আমরা জব্দ করেছি, তবে বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। ঘন কুয়াশা ও বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েটি যেন দুর্ঘটনার ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের চাপায় নারী ও শিশুসহ দুই পরিবারের ছয় জন নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন।
জেলার হাঁসাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ বলছে, এক বছরে এক্সপ্রেসওয়েটিতে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক।
আইএনবি/বিভূঁইয়া