নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাথাভরা ঘন কালোচুল।
তুলতুলে নরম গাল।
বেশ বড় সড় শিশু;
১৯৬৪ সালের ১৮ ই অক্টোবর
আলোকিত ধানমন্ডির বিখ্যাত ৩২ নম্বর
জন্মের পর প্রথম কোলে নিলেন হাসু।
বিশ্বমানবতার প্রতীক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে
রাখলেন ছেলের নাম মহৎ স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষাকে ঘিরে।
দুই বছরের বাচ্চা ছেলে
কারাগারে পিতাকে বলে
‘আব্বা বাড়ি চলো। ’ নত মাথা
‘কী উত্তর ওকে আমি দিব’।
শত কষ্টবুকে চেপে বলেন পিতা।
পিতার অভাব মিটাতে মাকেই ডাকতেন আব্বা।
ভীষণ দুরন্ত ছিল শৈশবোত্তীর্ণ শেখ রাসেল,
তাঁর দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাই-সাইকেল।
কবুতরের পিছন পিছন ছুটেছেন শিশুকালে
কাজের লোকদের সঙ্গে রান্না ঘরে পিঁড়ি পেতে বসে
লালফুল আঁকা থালায় ভাত খেতেন একটু বড় হলে।
চতুর্থ শ্রেণির ১১ বছরের রাসেল ছিল অতি সাধারণ
ভাল লাগতো মাছ ধরতে উড়ে বেড়াতে ঘুরে বেড়াতে
আব্দুল মিয়া ভাই’য়ের কিসসা শুনে হাসতো অকারণ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট প্রাতে
ছোট্র রাসেলকেও দিতে হলো প্রাণ
মানবরূপী বাঙালি দানবের হাতে।
পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত শিশু রাসেল
কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’।
নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে
ওর ছোট্ট বুকটা ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন ‘আমাকে হাসুপা’র কাছে পাঠিয়ে দিন’
আজ সেই রাসেলের ৫৭তম শুভ জন্মদিন।
কবি
এস. এম. শাহনূর