আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। ভাইরাসটির ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে নতুন করে আরও ১৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যার ফলে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইতালির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও আড়াই হাজারের অধিক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১১২ জনে। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ২৫৮ জন রোগী চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনার প্রভাব ঠেকাতে ইতালি সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও নতুন রোগী আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে এক সংবাদ সম্মেলনে পুরো ইতালিকে রেডজোনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করেছেন। পুরো দেশ রেডজোনের আওতাভুক্ত ঘোষণা করার পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ। দেশটির ব্যস্ততম শহরগুলো এখন ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িকভাবে সকল পর্যায়ের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। শহরগুলোর সবখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। আদালতের কার্যক্রম ৩১ মে পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
টুরিস্ট এলাকাগুলো একেবারে ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ব্যবসায় ধস নেমেছে। অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি বেকার হয়ে পড়ছে।
এদিকে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কার্যক্রম গত মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার।
উল্লেখ্য, ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রায় ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
আইএনবি/বিভূঁইয়া