আইএনবি নিউজ: শহীদ বুদ্ধিজীবী একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারীদের অবদানের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশের জন্য বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়ে গেছেন, তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি নামটাও তো মুছে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তো মুছে ফেলতে পারেনি। কারণ আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যায় না। কখনো বৃথা যায় নাই।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজোতি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এটা তো শুধু একটা হত্যাকাণ্ডই ছিল না। আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করা, বাঙালি জাতির যে উত্থান সেটাকে ধ্বংস করা, বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্রটা সে রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আইয়ুব খান যেভাবে নিজে সেনাপতি থেকে ইস্কান্দার মির্জার সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু ইস্কান্দার মির্জার পরিণতিই বা কী হয়েছিল? আইয়ুব খানকে যখন ক্ষমতায় আনল এরপরে ইস্কান্দার মির্জা তখন নির্বাসনে লন্ডনে গেল। লন্ডনে যেয়ে ভাত বেচার দোকানে প্লেট ধোঁয়ার কাজ নিতে হয়েছিল। কাজেই বেইমানদের কিন্তু যারা বেইমানি করায় তারাও কিন্তু বিশ্বাস করে না। তারাও কিন্তু ছুড়ে ফেলে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম একেবারে মুছে ফেলা এবং একটা মিথ্যা ইতিহাস তৈরি করা, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ কখনো একেবারে মুছে ফেলতে পারে না। আজকে সেটা প্রমাণ হয়েছে সারা বিশ্বের কাছে। আজকে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশের জনগণের কাছে। আজকের প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছে। ভবিষ্যতে আর কেউ পারবে না এটা মুছে ফেলতে।
বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে মীর জাফর মোশতাক থেকে শুরু করে বেইমানের জন্ম বারবার হয়েছে। খুনি জিয়ার মতো বারবার খুনির এসেছে। ভবিষ্যতে এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে দায়িত্বটা বাংলাদেশের জনগণকে নিতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে নিতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
আইএনবি/বিভূঁইয়া