আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চালানো নির্বিচার হামলায় ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৮১ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়িঘরে হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর করা দুটি ‘গণহত্যায়’ ৮১ জন নিহত এবং আরও ১৯৮ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৮ হাজার ৮০০ জনে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
যুদ্ধের সব নীতি ভঙ্গ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৮টি স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। এসব স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল হাজার হাজার বাস্তুহারা লোকজন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউেএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ইতিহাসের সবচেয়ে নথিভুক্ত গণহত্যা।
ইউএনএসসিতে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের দূত বলেছেন, কাউন্সিল একটি দাবি করার প্রায় চার মাস পর গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি গ্রহণের জন্য আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পশ্চিম এলাকায় আল-মাওয়াসিতে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়। গত শনিবার (১৩ জুলাই) সেফ জোনটিতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে দফায় দফায় বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। গত প্রায় ৯ মাস ধরে গাজার এমন কোনো স্থান এখন বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া